Q মাইক্রোসফট
ওয়ার্ড (Microsoft World) কি?
মাইক্রোসফট
ওয়ার্ড (Microsoft
Word) হল একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার (Word
Processing Software)। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে Compose Type, Drawing,
Project Profile তৈরি করা, ছোটখাট
ডিজাইন করা, বই তৈরি করা, দলিল,
প্রশ্ন, চিঠিপত্র টাইপ করা ছাড়াও
প্রিন্ট দেওয়া ও অফিসিয়াল কাজ সম্পাদন সহ যাবতীয় কাজ করা যায়।অত্যন্ত সহজ এই
প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বে প্রচলিত আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Microsoft
Corporation কতৃক এই সফটওয়্যার তৈরী তাই একে (Microsoft Word) বা (MS
Word) বলে নামকরণ করা হয়েছে।
Q মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
(Microsoft
Word) এর সাহায্যে কি কি করা যায়? MS Word এর
সাহায্যে যে যে কাজ করা যায় তা হল:-
v যে কোন ধরণের Document বা Text
লেখা,
v বিভিন্ন চিঠিপত্র, দলিল,
প্রশ্নপত্র টাইপ ও প্রিন্ট করা,
v ডিজাইন করা,
v বিভিন্ন ধরণের Project Profile তৈরী করা,
v বিভিন্ন ধরণের Drawing,
টেবিল এবং ডায়াগ্রাম তৈরী করা,
v বিভিন্ন ধরণের
কম্পোজ ও টাইপ করা,
v ব্যাক্তিগত নোট
তৈরী করা সহ আরো অনেক ধরণের কাজ সম্পাদন করা হয়।
প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
ফাইলটি ওপেন করলে Defult
একটি সাদা Page সামনে আসবে। আর এই সাদা
পেইজে একটি দাগ নিভু নিভু করছে, এই দাগ কে কার্সর বলে। এই
কার্সর যেখানে থাকবে কি-বোর্ড দিয়ে কোন অক্ষর চাপ দিলে লেখাটা সেখান থেকে শুরু
হবে। লেখার সময় কার্সর ডানদিকে যাবে। এভাবে লেখতে লেখতে লাইন ফিলআপ হলে কার্সর
সয়ংক্রিয়ভাবে নিচের লাইনে যাবে। আর যদি লাইন ফিলআপ না হলে যদি নিচে যাওয়ার প্রয়োজন
হয় তবে কি-বোর্ড এর Enter কী চাপ দিতে হবে।
ফাইল মেন্যু (File Menu)
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল (File) মেনু হচ্ছে প্রথম মেনু। এই মেনুর সাহায্যে নতুন ফাইল তৈরি করা, ডকুমেন্টের লেখা সেভ (Save) করা, সেভ ফাইল ওপেন করা, ক্লোজ (Close) করা, প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা, ডকুমেন্টের পেজের সাইজ মার্জিন ইত্যাদি নির্ধারণ করা, প্রিন্ট করা হয়ে থাকে।
নিম্নে File মেন্যুর Sub-menu গুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হল:-
১. নিউ (New)
ডকুমেন্টে নতুন পেজ তৈরি করার জন্য এই Sub-menu ব্যবহার করা হয়। কাজের মাঝে নতুন ফাইলের দরকার হলে ফাইল মেন্যুতে ক্লিক করে New এ ক্লিক করলে একটা (Task Pane) বক্স আসবে, এ (Task Pane) বক্স থেকে (Blank Documents) এ ক্লিক করলে একটি নতুন পেইজ Open হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Ctrl+N) চাপলেই নতুন পেজটি Open হবে।
২. ওপেন (Open)
Save করা কোন ফাইলকে পর্দায় আনতে এই সাবমেন্যুটি ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে File থেকে Open এ ক্লিক করলে একটি ডায়ালগবক্স আসবে। এখান থেকে আমাদের Save করা ফাইল সিলেক্ট করে, Open কমান্ড বাটনে ক্লিক করলে Save করা ফাইলটি পর্দায় ওপেন হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Ctrl+O) চাপলেই Save ফাইল সামনে আসবে,তখন নির্দিষ্ঠ ফাইল ওপেন করতে হবে।
৩. ক্লোজড্ (Close)
কাজ করার সময় যদি সচল করা ফাইলটি বন্ধ করার প্রয়োজন হয় তখন এই Sub-menu’র সাহায্যে তা করা হয়। এক্ষেত্রে File এ ক্লিক করে Close এ ক্লিক করতে হবে। ডকুমেন্টটি সেভ না থাকলে সেভ করতে চান কিনা তার জন্য একটি চেক বক্স আসবে। সেভ করতে চাইলে Yes সেভ না করতে চাইলে No-তে ক্লিক করতে হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Ctrl+W).
৪. সেভ (Save)
ডকুমেন্ট কম্পিউটারে সেভ করার জন্য এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার করা হয়। কোন ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে চাইলে File এ ক্লিক করতে হবে তারপর Save এ ক্লিক করতে হবে, তাহলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে, তারপর ফাইলটি কোথায় সেভ হবে তা দেখিয়ে দিতে হবে। সাধারণত আমরা My Documents এ ফাইল সেভ করি। আপনি ইচ্ছা করলে একই নিয়মে অন্য ড্রাইভে Save করে রাখতে পারেন। এরপর File Name-বক্স এ আপনার পছন্দ মত নাম টাইপ করে,সবশেষে Save এ ক্লিক করুন, তাহলে আপনার বর্তমান লিখিত ফাইলটি কম্পিউটারে সেভ হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Ctrl+S).
৫. সেভ এস (Save As)
উপরের নিয়মে সেভ করা ফাইলটি অন্য আরেকটি নামে সেভ করার জন্য এই সাবমেন্যু ব্যবহার করা হয়। অথ্যাৎ আমরা কোন ফাইল নিয়ে কাজ করলে তার একটি প্রতিলিপি বা কপি তৈরি হয় যা দিয়ে কাজ করি। এতে মূল ফাইলটি অক্ষত থাকে। এই প্রক্রিয়াটি সেভ করার মতই। শুধুমাত্র এতে ফাইলটির আরেকটি কপি তৈরি হয়।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (F12).
৬. পেজ সেটপ (Page Setup)
কোন ডকুমেন্টে লেখা শুরু করলে প্রথমেই Page Setup করে নিতে হয়।
Page Setup থেকে আমরা তিন ধরনের কাজ করে থাকি।
* মার্জিন: ডকুমেন্টের চারপাশে থাকা ফাকা জায়গাকে বলে মার্জিন।
* ওরিয়েন্টেশন: ডকুমেন্টটি আড়াআড়ি কিংবা লম্বালম্বি হবে তা নির্ধারণ করা।
* পেপার সাইজ: কোন সাইজে ডকুমেন্টটি প্রিন্ট হবে তা নির্ধারণ করা।
এই কাজের জন্য প্রথমে File থেকে Page Setup এ যেতে হবে। তারপর প্রথমের Margins ট্যাবের Top, Bottom, Left, Right ইঞ্চিতে ফাকা জায়গার পরিমাণ টাইপ করতে হবে।
তারপর Orientation অপশন বার থেকে আমাদের পেজটি আড়াআড়ি নাকি লম্বালম্বি হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
{এখানে Portrait (পোর্টরেইট) মানে হলো পেজটি লম্বালম্বি হবে এবং Landscape (ল্যান্ডস্কেইপ) মানে হলো পেজটি আড়াআড়ি হবে।}
এরপর Paper অপশনে গিয়ে পেজের সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। কম্পিউটারে সাধারণত দুই ধরণের পেপার প্রিন্ট করা হয়। একটি হল A4 এবং অন্যটি Legal, এখানে আপনার পছন্দ পেজটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।
৭. প্রিন্ট (Print)
Documents লেখা প্রিন্ট করতে হলে এই Sub-menu ব্যবহার হয়।
এক্ষেত্রে কম্পিউটারের সাথে ডাটা কেবল দিয়ে প্রিন্টারকে সংযুক্ত করে অন করে কম্পিউটারে প্রিন্টার সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। এরপর File থেকে Print এ ক্লিক করলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখান থেকে উপরে Printer Name বক্স থেকে যে প্রিন্টারে প্রিন্ট করা হবে তা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Page Range থেকে যে যে পেজ প্রিন্ট করা হবে তা সিলেক্ট করতে হবে, এরপর Copies বক্স থেকে কত কপি প্রিন্ট হবে তা টাইপ করে OK তে ক্লিক করলে প্রিন্ট শুরু হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Ctrl+P).
৮. Properties
এই Sub-menu সাহায্যে ডকুমেন্টের যাবতীয় তথ্য যেমনঃ ডকুমেন্ট তৈরি, ডকুমেন্টের লেখকের নাম, লোকেশন, সাইজ ও সম্পাদনা তারিখ। ডকুমেন্টের বিভিন্ন পরিসংখ্যা যেমনঃ পেজ সংখ্যা, লাইন সংখ্যা, শব্দ সংখ্যা, প্যারা সংখ্যা, অক্ষর সংখ্যা ইত্যাদি পাওয়া যায়।
৯. Exit
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে যেতে হলে এই Sub-menu ব্যবহার করা হয়। File থেকে Exit এ ক্লিক করলে, ডকুমেন্ট টি সেভ না থাকলে একটি উইন্ডো আসবে। এখানে সেভ করতে চাইলে Yes এবং সেভ না করতে চাইলে No এ ক্লিক করতে হবে।
কী-বোর্ডের শর্টকাট Key (Alt+F4).
No comments:
Post a Comment